প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

প্রার্থী কোন বিষয় নয়, প্রতীকই মূল বিষয়, জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নৌকা বিজয় নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান কাজ। যুব সমাজই পারবে সমাজকে বদলে দিতে এবং উখিয়া-টেকনাফকে মাদকমুক্ত করতে। আমি একজন আওয়ামী পরিবারের সন্তান, বর্তমানে জেলার যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করতেছি। তাই যুবলীগের নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে উখিয়া-টেকনাফের আপামর জনসাধারণের ভালবাসা নিয়ে, আমি জনগণের সেবা করতে চাই। বঙ্গবন্ধুর আমলে আমার বাবাও এম.এন.এ থাকা অবস্থায় এই এলাকার মানুষের পাশে ছিলেন। আমার বাবা মহুকুমা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। উখিয়া-টেকনাফকে ইয়াবার করাল গ্রাস থেকে মুক্ত করতে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি কাজ করে যেতে চাই। মাদক মুক্ত উখিয়া-টেকনাফ বিনির্মাণ করতে হলে যুবলীগকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

৩০ জুলাই বিকাল ৩টায় কলাতলীস্থ একটি অভিজাত হোটেলে উখিয়া উপজেলা ও এর আওতাধীন ৫টি ইউনিয়নের যুবলীগ নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা যুবলীগের সভাপতি ও আগামীর উখিয়া-টেকনাফের সম্ভাব্য নৌকার প্রার্থী সোহেল আহমদ বাহাদুর এসব কথা বলেন।

উক্ত মতবিনিময় সভায় উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মুজিবুল হক আজাদ-এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেনের সঞ্চালনায় তিনি আরো বলেন, এবারের নির্বাচন অস্তিত্ব লড়াইয়ের নির্বাচন। যে কোন কিছুর বিনিময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এড. নুর আহমদ এর ছেলে এবং জেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে আমি নৌকা প্রতীক চাইতেই পারি। তবে এটা ঠিক যে, জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকেই নৌকা প্রতীক দিবেন তার পক্ষেই আমি যুবলীগ নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঝাপিয়ে পড়বো। তবে আমি আশা রাখি বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে আমাকেই বাছাই করবেন।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক সোহেল বলেন, সোহেল আহমদ বাহাদুর কোন হাইব্রীড নয়, আওয়ামী রাজনীতির আদর্শিক ও ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান। সম্ভাব্য অন্য যেকোন প্রার্থীর তুলনায় সোহেল আহমদ বাহাদুর অনেক গুণ এগিয়ে। শিক্ষায় মেধায় এবং গ্রহণযোগ্যতায় সোহেল আহমদ বাহাদুরই উখিয়া-টেকনাফ নৌকার যোগ্য প্রার্থী। যুবলীগ নেতাকর্মীদের দায়িত্ব বাহাদুরের পক্ষে মাঠে ব্যাপক কাজ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মুজিবুল হক আজাদ বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে উখিয়া-টেকনাফের গণমানুষের নেতা জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর নৌকা প্রতীক নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা হাতকে শক্তিশালী করবেন। অন্য সকল প্রার্থীর তুলনায় সর্বোত্তম প্রার্থী হচ্ছেন সোহেল আহমদ বাহাদুর। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে আসলে উখিয়া-টেকনাফে গণজোয়ার সৃষ্টি হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

উক্ত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন পালংখালী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন-আহবায়ক রেজাউল করিম ভূট্টো, হলদিয়াপালং ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন-আহবায়ক মাষ্টার মোজাম্মেল, রতœাপালং ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান, রাজাপালং ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল উদ্দিন সুজন।

এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, রাজাপালং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হানিফ ছিদ্দীক, পালংখালী ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক কামাল উদ্দিন সওদাগর, হলদিয়াপালং ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক সিরাজুল মোস্তফা মামুন, যুগ্ন-আহবায়ক মনজুর আলম, কায়সার মোঃ তুহিন, পালংখালী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন-আহবায়ক আনোয়ার হোসেন, আবদুল গফুর নান্নু, আবদুর রহিম প্রমূখ।

মতবিনিময় সভায় উখিয়া উপজেলার ৫ ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে গণসংযোগ শুরু করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।